শ্রমজীবী ব্লাডব্যাঙ্ক আপনার কাছে একান্ত আবেদন করছে, আপনার এলাকায়, আপনার পরিচিত জনদের মাঝে অন্তত একটি রক্তদান শিবির করার আবেদন পৌঁছে দেওয়ার।
যদি আপনি / আপনারা শ্রমজীবী ব্লাডব্যঙ্কে রক্তদান করেন, তাহলে উপকৃত হবেন শ্রমজীবী সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষই। কেননা-
♦কম্পোনেন্ট সেপারেটর সহ ( রক্তবিভাজন যন্ত্র, যার মাধ্যেমে রক্তের উপাদান পৃথক করা হয়) স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্লাড ব্যাঙ্ক পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত এলাকায় সম্ভবত এটিই একমাত্র ব্লাডব্যাঙ্ক।
♦ কম্পোনেন্ট সেপারেটর থাকার ফলে শ্রমজীবী ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রুগীর প্রয়োজনীয় রক্তের উপাদান, যেমন- পি আর বি সি, প্লাজমা, প্লেটলেট সহজেই পাওয়া সম্ভব হয়।
♦ শ্রমজীবী ব্লাডব্যাঙ্ক রবিবার ও ছুটির দিনসহ প্রতিদিন দিবারাত্রি খোলা থাকে। ফলে ২৪ ঘন্টাই রুগীর প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহ করা যায়।
♦ শ্রমজীবী ব্লাডব্যাঙ্ক রক্তদান শিবির আয়োজনকারী বন্ধু সংগঠনকে কেবলমাত্র সরকার নির্ধারিত রিফ্রেশমেন্ট অনুদান ৫০০ টাকা উৎসাহ ভাতা ও ডোনার পিছু ৫০ টাকাই দিয়ে থাকে। কোনো উপহার বা অতিরিক্ত অর্থ দেয় না,ফলত ঐ সব শিবিরে কেবলমাত্র প্রকৃত স্বেচ্ছা রক্তদাতারাই রক্তদান করেন।যার ফলে শ্রমজীবী ব্লাডব্যাঙ্কের রক্ত নিরাপদ হওয়ার সম্ভবনা বাড়ে।
♦ শ্রমজীবী ব্লাডব্যাঙ্ক প্রত্যেক রক্তদাতাকে ডোনারকার্ড প্রদান করে।যার মাধ্যমে কেবলমাত্র প্রসেসিং ফি ১৫০ টাকা দিয়ে এক ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা যায়।
♦ ডোনারকার্ড না থাকলেও সরকার নির্ধারিত প্রসেসিং ফি -র বিনিময়ে রক্ত সংগ্রহ করা যায়।
♦ শ্রমজীবী ব্লাডব্যাঙ্ক রক্তসংকটকালে বন্ধুদের সহযোগিতায় যথাসম্ভব ইনহাউস শিবির সংগঠিত করে।
♦শ্রমজীবী ব্লাডব্যাঙ্ক রুগীর বিশেষ সংকটকালে যথাসাধ্য চেষ্টা করে প্রয়োজনীয় গ্রুপের রক্ত সংগ্রহ করে দেওয়ার। আর তাতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সফল হয়। কেননা শ্রমজীবী হাসপাাতালকে ঘিরে সর্বক্ষণ সজাগ থাকেন বন্ধুদের বিশাল বলয়। তাঁরাই ছুটে আসেন প্রয়োজনে।
♦শ্রমজীবী ব্লাডব্যাঙ্ক তথা শ্রমজীবী হাসপাতাল প্রতিনিয়ত নিয়োজিত থাকে নানা সামাজিক কর্মকান্ডে ফলে প্রতিদিনই সুযোগ্য বন্ধুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।তাল রেখে বাড়ে রক্তদাতার সংখ্যা। তেমনি বাড়ে রক্তের প্রয়োজনীয়তাও। বহুজন প্রতিদিনই আসেন প্রিয়জনের রক্তের প্রয়োজনে।
♦আপনিও আপনার এলাকায় রক্তদান শিবির আয়োজন করে সমৃদ্ধ করুন শ্রমজীবী ব্লাডব্যাঙ্ক তথা শ্রমজীবী সমাজকে।
♦ আপনার /আপনাদের সংগঠনের কাছে একান্ত আবেদন, তীব্র রক্তসংকটের মুহূর্তে অন্তত একটি রক্তদান শিবির আয়োজন করে মুমূর্ষু রুগীদের পাশে দাঁড়ান, এবং এই বার্তাটি ছড়িয়ে দিন যথা সম্ভব।
অভিনন্দন।